অনলাইন ডেস্ক :
নওগাঁর ধামইরহাটে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামীকে অজ্ঞান করে লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্ত্রী পলাতক রয়েছে। আহত স্বামীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে।
আহত স্বামী জানান জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই স্ত্রী মোবাইল ফোনে অন্য কারো সঙ্গে কথা বলতো। বিষয়টি জানতে পেরে স্ত্রীকে নিষেধ করেন তিনি। এরপরও স্ত্রী পরপুরুষের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলায় মাস খানেক আগে তার ফোনটি কেড়ে নেন স্বামী। সেই থেকেই স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়।
গত ৯ মে দিবাগত রাতে স্ত্রী কৌশলে স্বামীকে একাধিকবার খাবার খেতে অনুরোধ করে এবং এক পর্যায়ে জোর করে পোলাও খাইয়ে দেয়। এতে তাৎক্ষনিকভাবে স্বামী অজ্ঞান হলে মধ্যরাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার লিঙ্গে কোপ মারে স্ত্রী। এ সময় স্বামী প্রাণ ভয়ে মায়ের ঘরে গেলে স্ত্রী পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর তাকে ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে চিকিৎসা দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে হারুনুর রশিদকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় আহতের ভাই বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানান আহত স্বামী। বর্তমানে তিনি ধামইরহাট হাসপাতালে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, এটি স্বামী-স্ত্রী অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে। অভিযোগ হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি